www.chini24.online

www.chini24.online detailed reporting and presentation of information about current events, issues, or stories.

Subscribe Us

Wednesday, 22 January 2025

নারীদের সঙ্গে উলঙ্গ ছবি তুলে দু’কোটি টাকার মুচলেকা আদায়ের অভিযোগ








অপহরণের পর নারীদের সঙ্গে উলঙ্গ ছবি এবং সন্ত্রাসী দিয়ে নির্যাতন করে খালি স্ট্যাম্পে জোর করে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মুচলেকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর মিরপুর থানা এলাকায় এ ঘটনায় ঢাকার চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হলেও আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম। মামলার সূত্রমতে, ভুক্তভোগী ফরিদুল আলম আইন মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় সরবরাহকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত ঠিকাদার। চট্টগ্রামের লোহাগড়ার পদুয়ার এ বাসিন্দা ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে ঢাকার মিরপুর থানাধীন ২ নং সেকশন বড়বাগের ৬২/৬৩ নং হোল্ডিংস্থ ২ নং (এল) ফ্ল্যাটে বসবাস করেন।
ঘটনার দিন গত ২ ডিসেম্বর তিনি মিরপুরের উক্ত বাসা থেকে বের হয়ে স্থানীয় মার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মামলার আসামি হিসেবে উল্লেখিত সাইদুল এবং অনুজ দাস নামে দুই ব্যক্তি তার পথরোধ করে। এ সময় তাদের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন আসামি মোস্তফা সরদার তপনসহ অন্তত ১৫-২০ জন। এদের মধ্যে সাইদুল ফরিদুলের কাছে টাকা পাই বলে অযথাই তর্ক জুড়ে দেয়। এক পর্যায়ে ফরিদুল আলমকে অপহরণ করে মিরপুর শপিং কমপ্লেক্স-এর ফুড কোর্ট-এ টপ ফ্লোরে নিয়ে যায়। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। নির্যাতন করে সাইদুল ইসলাম দুই কোটি টাকা পাবেন বলে অঙ্গীকার আদায় করে টাকা দাবি করে। এ সময় সেখানে দু’জন নারী ও ইমন নামে একজন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয়ে উপস্থিত হয়।


রাত ৮টার দিকে ফরিদুলকে নিয়ে যাওয়া হয় মিরপুর-১৪ নং কলোনী জামে মসজিদের খেলার মাঠের পাশে। সেখানে একটি সরু গলিতে আটকে রেখে ফরিদুলকে উলঙ্গ করে নারীদের দিয়ে ছবি তোলে এবং ভিডিও করে রাখে। এ সময় বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদায় করা হয়। এরপরও তাকে দুই কোটি টাকা পরিশোধের দাবিতে নির্যাতন করা হয়। তিনি অপরাগতা প্রকাশ করায় ফরিদুলকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ইব্রাহিমপুর বাজারের পেছনে ঝিলের পাড় বস্তিতে। সেখানে ঘরে আটকে রেখে ভুক্তভোগীর দু’টি ফোন সেট ছিনিয়ে নেয়। তাকে দুই কোটি টাকা মুক্তিপণ অথবা সমমূল্যের সম্পত্তি লিখে দেয়ার চাপ দেয়া হয়। প্রাণ ভয়ে তিনি সন্ত্রাসীদের দেয়া তিনটি খালি স্ট্যাম্পে সাক্ষর করতে বাধ্য হন। বিষয়টি কাউকে প্রকাশ করলে জীবনে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। শুধু তা-ই নয়, ওই ভুক্তভোগীর একমাত্র ছেলে রাকিবুল আলমকেও ফোন করে আসামীরা নানা হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে এ ব্যাপারে মিরপুর থানায় অভিযোগ দিলেও তা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। পরে বাধ্য হয়ে তিনি সিএমএম আদালতে একটি সি আর মামলা করেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন পিবিআই আগারগাঁও কার্যালয়ের সাব ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ জাকারিয়া।





মামলার অগ্রগতি ও ভিডিও ফুটেজ কিংবা স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পিবিআই’র এ কর্মকর্তা বলেন, অনেকটা সময় পেলেও তিনি তদন্ত শুরু করতে পারেননি। তবে আসামিদের সাক্ষাৎ করতে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আর বাদী আতঙ্কে রয়েছেন। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বাদীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে, তিনি সময় করে আসবেন।
এদিকে ঘটনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বলেন, তিনি সিত্তুল মুনা চৌধুরী নামে এক নারী প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন। ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হলেও তিনি ব্লাকমেইল করে আমাকে নামমাত্র বিয়ে করে। এরপর সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে আমার সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। ইতঃপূর্বেও অনেক ব্যবসায়ীকে ওই মহিলা প্রতারক ফাঁদে ফেলে গাড়ি-বাড়ি আত্মসাৎ করেছে। ওই মহিলা প্রতারক বর্তমানে বড় বাগের যে ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন সেটিও আনোয়ার নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ের ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে মোস্তফা নামে একজনকে স্বামী পরিচয় এবং অপকর্মের সহযোগী হিসেবে অনুজ ও সাইফুলকে দালাল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন।

ভুক্তভোগী ফরিদুলকে গতকাল ইনকিলাব থেকে ফোন করা হলে তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, এ ঘটনার পেছনে পুরোটাই মুনার ষড়যন্ত্র। তিনি ঘটনার শিকার হয়ে স্বাক্ষর করা স্ট্যাম্প ও ভিডিও ফুটেজ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


 

No comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.

Search This Blog

About Us

About Us
Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's.

Editors Choice

3/recent/post-list