www.chini24.online

www.chini24.online detailed reporting and presentation of information about current events, issues, or stories.

Subscribe Us

Tuesday, 18 February 2025

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত ৪২ হাজার কোটি টাকা

 



২০১৪ সালে ছোটভাবে শুরু হওয়া এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা এখন বেশ বড় আকার ধারণ করেছে। এজেন্টদের মাধ্যমে দেশের আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে ব্যাংকিং সেবা। দেশজুড়ে ২১ হাজারের বেশি কেন্দ্রের মাধ্যমে দেওয়া এই সেবা জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়া, ঋণ নেওয়া, পরিষেবা বিল পরিশোধ, প্রবাসী আয় গ্রহণসহ নানা ধরনের সেবা মিলছে। সব মিলিয়ে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যসহ গ্রামীণ অর্থনীতি বেশ চাঙা হচ্ছে। কারণ, এজেন্টদের ৮৫ শতাংশই গ্রাম এলাকার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গত এক দশকে বিভিন্ন ব্যাংকের এজেন্টরা দুই কোটি ৪০ লাখের বেশি গ্রাহক পেয়েছেন। এসব এজেন্ট আমানত পেয়েছেন ৪১ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকার। আর এ সময়ে ২৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। তবে লোন-টু-ডিপোজিট অনুপাত এখনো তুলনামূলকভাবে কম। মাত্র ৫৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

এর কারণ বেশিরভাগ ব্যাংকই এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ এবং পুনরুদ্ধারের জন্য শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি করতে পারেনি। যদিও ব্যাংকগুলো তাদের মোট আমানতের ৮৭ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার অনুমতি রয়েছে এবং ইসলামি ব্যাংকগুলো ৯২ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারে। তবু এজেন্ট ব্যাংকিং খাতে ঋণ দেওয়ার অনুপাত অনেকটাই কম।

গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩১টি ব্যাংক ২১ হাজার ২৪৮টি আউটলেটের মাধ্যমে ১৬ হাজার ২১ জন এজেন্টের সাহায্যে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দিয়েছিল। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মোট হিসাব সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৬ লাখ ১০ হাজার ৪০৫। এর মধ্যে ৮৫.৬০ শতাংশ ছিল গ্রামীণ গ্রাহক এবং ৪৯.৭৭ শতাংশ ছিল নারী হিসাবধারী।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক হিসাব খোলার ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল। ৭০ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৮টি হিসাব নিয়ে তাদের বাজার শেয়ার ছিল ২৯.৩০ শতাংশ। ব্যাংক এশিয়া ২৯ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংক ২০.৯২ শতাংশ, অগ্রণী ব্যাংক ৪.১৮ শতাংশ এবং আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ৪.১৭ শতাংশ বাজার শেয়ার নিয়ে পরবর্তী অবস্থানে ছিল।

আমানত সংগ্রহের দিক থেকে শীর্ষ পাঁচটি ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা জমা দেওয়ার মোট ৮০.০৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক ৩৯.০৩ শতাংশ শেয়ার নিয়ে শীর্ষে ছিল। ডাচ্-বাংলা, ব্যাংক এশিয়া, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংক পরবর্তী অবস্থানে ছিল।

ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক আধিপত্য বিস্তার করেছে। মোট ঋণের ৬৭.২২ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ হাজার ১৫২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। শীর্ষ পাঁচটি ব্যাংক সম্মিলিতভাবে এই খাতে মোট ঋণের ৯৪.৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৩ সালে এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করেছিল। এর লক্ষ্য ছিল, নিরাপদ বিকল্প ব্যাংকিং সেবা প্রদান করা। সাধারণত ব্যাংকিং সুবিধা পাওয়া যায় না এরকম গ্রামাঞ্চলে এবং দূরবর্তী এলাকার মানুষের জন্য নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়াই ছিল উদ্দেশ্য।

No comments:

Post a Comment

Powered by Blogger.

Search This Blog

About Us

About Us
Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's.

Editors Choice

3/recent/post-list