
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, জাতিসংঘ শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে একটা গণহত্যাকারী স্বৈরাচার হিসেবে টাইটেল দিয়েছে। এখন আর শেখ হাসিনার পক্ষে ভারতেরও কথা বলা সম্ভব নয়। ভারতকে যতোই একমাত্র আঙ্কেল চাচা মামা যাই বলে ভারত ছাড়া তার আর কিছুই নাই। যেখানে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে, ১৪০০ লোককে তার নির্দেশে হত্যা করেছে, সেই লোক কে ভারত আশ্রয় দিয়ে কি দেখাতে চায়? ভারত কি বাংলাদেশের জনগণের সাথে? না, ভারত শেখ হাসিনার সাথে। আর এজন্য এই ভারত শেখ হাসিনার জন্য কাঁদছে। সেদিন ভারতের প্রধান মন্ত্রী ট্রাম্পের কাছে নালিশ দিয়েছিলেন। আর ট্রাম্প কি বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন-এই বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী খুব পারদর্শী। উনি একশবছর ধরে বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা করছেন।এ নিয়ে মোদীই ভাল বলতে পারবেন বলে ট্রাম্প কোনও উত্তর না দিয়ে মোদীর কাছে ছেড়ে দেন- তখন বেচারা হতচকিত হয়ে যান। তখন আর তিনি বাংলাদেশ সম্পর্কে না বলে এ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান অন্যদেশ নিয়ে মোদী মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের প্রাঙ্গণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এম নাসের রহমান বলেন, পুলিশ বাহীনিকে বলতে চাই- বিশেষ করে পলাতক আওয়ামী লীগাররা কোন কোন গর্তে লুকিয়ে আছে তাদেরকে বের করে ধরতে এখন আরো সচেষ্ট হতে হবে। এই পুলিশের মেরদণ্ডটাও পতিত সরকার ভেঙে দিয়েছে। পুলিশ এখনো সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। বর্তমানে পুলিশের একজন রিটায়ার্ড অফিসারকে পুলিশের আইজিপি করা হয়েছে। এখন জেনুইন পুলিশরা পুলিশ চালায়। আর এখন যারা জেনুইন পুলিশ তারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অন্ধ বিশ্বাসী ছিল না। সে জন্য এখন যারা পুলিশ প্রশাসনে আছেন তারা বিগত সাড়ে পনের বছর পুলিশে কাজ করতে পারেননি। ওই সময়ে উনাদের বেশির ভাগই ঘরে বসে চিনাবাদাম খেতে হয়েছিল।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক জামি আহমদের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক আব্বাস আলী মাস্টারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য বকসী মিসবাউর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি আয়াছ আহমদ, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কবির মিয়াসহ স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
No comments:
Post a Comment